
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

দাবিনামার প্রথম দফায় বলা হয়, দক্ষ, প্রফেসনাল, আধুনিক ও সময়োপযুগী সেবা ব্যবস্থা চালু করে জনগণের কাংখিত সেবা নিশ্চিত করতে ‘ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’-এই ফরমুলায় জনপ্রশাসন তথা জনসেবা ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠন করতে হবে। দ্বিতীয় দফায় বলা হয়, মেধাভিত্তিক, বৈষম্যহীন ও কোটামুক্ত সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উপসচিব ও তদোর্ধ পদকে ক্যাডার বহির্ভূত পদ ঘোষণা করে সকল ক্যাডার থেকে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে। অর্থাৎ ১৯৭৯ সালের সিনিয়র সার্ভিস পুল (এসএসপি) পদ্ধতি চালু করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য পরিষদ দেশের ২৬টি ক্যাডারের মধ্যে ২৫টি ক্যাডারকে প্রতিনিধিত্ব করে। প্রায় ৬০ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে ২৫টি ক্যাডারে প্রায় ৫৩ হাজার কর্মকর্তা চাকরি করে। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, জনসেবা, অবকাঠামো নির্মাণ, রাজস্ব আদায় এই ২৫টি ক্যাডারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তাই ২৫টি ক্যাডারকে পাশ কাটিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার সম্ভব নয়। সিভিল সার্ভিসে সকল বৈষম্য দূর করে জনকল্যাণমূখী সেবা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে তাই সকল ক্যাডারের সাথে মতবিনিময় করে সুপারিশ গ্রহণের জন্য কমিশন সদস্যদের আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর মোঃ সোহরাব হোসেন হাওলাদার। অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি ক্যাডারের মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক, শিক্ষা ক্যাডারের মো. মাসুম বিল্লাহ , স্বাস্থ্য ক্যাডারের মো. মাজহারুল রেজোয়ান, সমবায় ক্যাডারের মো. মোস্তফা, তথ্য বেতার ক্যাডারের মো. জাহিদ হোসেন।