শুক্রবার, মে ২৩, ২০২৫
Homeরাজশাহীবিজিবি) সেক্টর  কমান্ডার -১ রাজশাহী, প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বিজিবি) সেক্টর  কমান্ডার -১ রাজশাহী, প্রেস বিজ্ঞপ্তি

১। অদ্য ২২ মে ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ১২০০ ঘটিকায় বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় যে, নিম্নবর্ণিত নাগরিকগণ নিজেদেরকে মাননীয় সেনাবাহিনী প্রধান, কিউএমজি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং সেক্টর কমান্ডার বিজিবি, রাজশাহী এর লোক দাবি করে গরু ব্যবসায়ীদের নিকট হতে অগ্রীম হোটেল ভাড়া এবং আনুষঙ্গিক বিভিন্ন খরচ গ্রহণ করে রাজশাহী শহরের গুলশান হোটেলে অবস্থান করছেনঃ
ক। মোঃ মেহেদী হাসান (৫৫), পিতা- মৃত আব্দুর রশিদ খাঁন, গ্রাম- খাগড়া, ডাকঘর-চরপাড়া, থানা- আটপাড়া, জেলা- নেত্রকোণা, মোবাইল নম্বরঃ ০১৭২১-১৪৩১৩৩।
খ। মোঃ নিজাম উদ্দিন (৭১), পিতা- মৃত ওয়াজিউল্ল্যাহ মিয়া, গ্রাম- কালিকাপুর, ডাকঘর- বাংলাবাজার, থানা- বেগমগঞ্জ, জেলা- নোয়াখালী, মোবাইল নম্বরঃ ০১৬৮০-০৩৩৮৭১।
২। ভূক্তভোগী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যভিত্তিক সহায়তায় উল্লিখিত ব্যক্তিদেরকে বিজিবি টহলদল কর্তৃক অদ্য ১৩০০ ঘটিকায় আটক করতঃ শালবাগানস্থ রাজশাহী ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা অবৈধভাবে গরু চোরাচালানের মধ্যস্থতা করে উৎকোচ গ্রহণের কাজ করে।
ক। উল্লিখিত ব্যাক্তিগণ গত ২০ মে ২০২৫ তারিখ ঢাকা হতে রাজশাহীতে আগমন করতঃ গুলশান হোটেল, বিন্দুর মোড়, রাজশাহী এর ৪ ও ৫ নম্বর কক্ষে অবস্থান করে।
খ। মোঃ নিজাম উদ্দিন নিজেকে মাননীয় সেনাপ্রধান ম্যাডামের শিক্ষক বলে দাবি করেন।
গ। মোঃ মেহেদী হাসান নিজেকে এমইএস এর ঠিকাদার হিসেবে দাবি করেন।
ঘ। তারা মিথ্যা আশ্বাস প্রদান করেন যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান এবং মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর সাথে তাদের বিস্তারিত হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশে গরু নিয়ে আসতে কোন অসুবিধা নাই।
ঙ। এছাড়াও তারা সেক্টর কমান্ডার বিজিবি রাজশাহীর বরাত দিয়ে জানান যে, সেক্টর কমান্ডার বলেছেন গরু চোরাচালানের উদ্দেশ্যে বর্ডার খুলে দেয়া হবে।
চ। মোঃ মেহেদী হাসান জানায় যে, আমি যাদেরকে নির্বাচন করবো শুধুমাত্র তারাই ভারত হতে গরু আনতে পারবে। এ ব্যাপারে সেক্টর কমান্ডার বিজিবি রাজশাহী প্রয়োজনীয় অনুমতি দেয়ার জন্য অদ্য সন্ধ্যায় হোটেলে আগমন করবেন।
৩। প্রতিজোড়া গরু ৩৫,০০০/- এবং ১০ হাজার গরু বর্ডার পার করে দেয়ার বিনিময়ে ২০ লক্ষ টাকা অগ্রীম দাবি করেন। প্রকৃতপক্ষে উল্লিখিত ব্যক্তিগণ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাগণের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য অভিনব কায়দায় ব্যবসায়ীদের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল অবলম্বন করেন।
৪। বিস্তারিত/বিশদভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
সংশ্লিষ্ট খবর

সর্বশেষ খবর