
পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৫ বছরের জায়গা দখল, বাউন্ডারি দেওয়াল ভাংচুর, মালামাল লুটপাটের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তন কক্ষে ও শহরের নূর মহল্লায় সংবাদ সম্মেলন দুটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শহরের নতুনবাজার এলাকার মৃত আলহাজ্ব নিজাম উদ্দীনের মেয়ে নওগাঁ ভিওউল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. নাজমুন নাহার অভিযোগ করে বলেন, বাবার মৃত্যু ও চাকরির সুবাদে আমরা ভাইবোনেরা দেশ ও বিদেশে অবস্থান করি। এই সুযোগে আমার বাবার এসএ রেকর্ড ভুক্ত সাড়ে ৩ শতক জমির দলিল টেম্পারিং করে মো. আব্দুল ওহাব মল্লিক নিজ নামে আরএস রেকর্ড করে নেন। এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় নিন্ম আদালতের প্রদানকৃত আংশিক রায়ের আদেশ নিয়ে শহরের নূরমহল্লার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আশিউর রহমান মিন্টু ও তার ভাইয়েরা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গত ১০ অক্টোবর আমাদের বাউন্ডারি ওয়াল, গোডাউন ভেঙ্গে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যান। জমিতে থাকা গাছগুলো কেটে টিনের বাউন্ডারি দিয়ে জবর দখল করে নিয়েছেন। বিষয়টি জানার পর আমরা জমির উপর গেলে আমাদের প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে সম্মানহানি করা হচ্চে। আমরা অসহায় হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
এসময় নাজমূন নাহারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার ভাই মো. নজরূল ইসলাম, সাহেদুল হক, তৌহিদুল ইসলাম ও কৌশিক রহমান।
এদিকে নিজ বাড়িতে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষ শহরের নূরমহল্লার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আশিউর রহমান মিন্টু বলেন, নাজমূন নাহারের সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন।
নাজমুন নাহারের ভাই বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একজন কর্মকর্তা। তিনিই ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের জমি দখল করে রেখেছিলেন। প্রশাসনের লোকজনদের দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। জমির বিষয়ে ওই কর্মকর্তায় গত ২০০২ ও ২০১২ আদালতের আমাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানী ও নথিপত্র দেখে বিজ্ঞ আদালত গত ৩ অক্টোবর/২৪ আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। আমরা আমাদের জমি বুঝে নিয়েছি। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, নাজমূন নাহারের পরিবার আদালতের রায়ও মানেন না। প্রশাসনিক ক্ষমতার জোরে সব কিছু করতে না। এখন প্রশাসন দিয়ে আমাদের হয়রানী করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতাই ভূগছি।
এসময় তার ভাই গোলাম মোস্তফা খোকন, আনোয়ার মল্লিক বাপ্পি, আল মামুনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে শহরে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।