নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মহানগরীর শিরো্ইল কলোনী ১ নং গলির বড় মসজিদে ২৯/১/২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ৭ টা ৪০ মিনিটে এশার নামাজের সময় ঘটনাটি ঘটে ।
সাবেক পলাতক ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমনের মনোনীত মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ কাদের নেওয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম এবং মসজিদের সাবেক ইমাম মোঃ মাইনুল ইসলাম আশরাফি। উল্লেখ্য, মসজিদের সাবেক ইমাম মাইনুল ইসলাম রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিল। সে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়টি সাধারণ জনগনের সম্মুখে আসলে সাধারণ মুসল্লিগণ তার ইমামতিতে নামাজ পড়তে অস্বীকৃতি জানাই । আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে এলাকাবাসীকে নানাভাবে হয়রানি করেছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। ৫ তারিখে বিপ্লব পরবর্তী সময়ে ইমাম মাইনুল ইসলাম পলায়ক ছিল । । তখন মুসল্লীগণ প্রক্সি ইমামের পিছনে নামাজ আদায় করতে শুরু করে। হঠাৎ করে সাবেক ইমাম মো: মাইনুল ইসলাম মসজিদে উপস্থিত হয়ে ইমামতি করার অনুমতি চাই। তখন আওয়ামী লীগের মনোনীত কমিটির সেক্রেটারি মোহাম্মদ আসলাম অনুমতি প্রদান করে। কিন্তু সাধারণ মুসল্লিগন দুর্নীতিগ্রস্ত মসজিদের অর্থ আত্মসাৎকারী, অত্যাচারী, জুলুমবাজ ইমামের পিছনে নামাজ আদায় করতে অসম্মতি জ্ঞাপন করে। এ বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও বাঘ-বিতণ্ডা চলতে থাকে। কিছু মুসল্লী নামাজ আদায় না করে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় সংঘর্ষের সম্ভাবনা আছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানাই, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি সংগঠিত হয়। এলাকাবাসী অর্থ আত্মসাৎ কারী এই ইমামের পিছনে তারা কিছুতেই নামাজ আদায় করবে না এবং আওয়ামী লীগের দোসর কমিটির বিলুপ্তি ঘোষণা করে নতুন ইমাম নিয়োগ দানের দাবি জানাই।